জীবনে যখন কঠিন সময় আসে তখন মানুষের বিশ্বাসের পরীক্ষা হয়। মহান আল্লøাহ সূরা আনকাবুতে বলেছেন- ‘মানুষ কি মনে করেছে যে, আমরা ঈমান এনেছি- এ কথা বললেই তাদের পরীক্ষা না করে অব্যাহতি দেয়া হবে?’ মানুষের জীবনে যে বৈরী অবস্থা সেটি পরীক্ষারই একটি অংশ। এ সময়ে অনেকে তার বিশ্বাসে দৃঢ় থেকে ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন। আবার অনেকের বিশ্বাসে চিড় ধরে। যারা দৃঢ় থাকেন তারা হন সফল আর যারা বিশ্বাস হারান তারা হন ব্যর্থ।
সব ঈমানদার বিশেষত নবীদেরকে এ জগতে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়েছে। পরিশেষে বিজয় ও সাফল্য তাঁদেরই হাতে এসেছে। এসব পরীক্ষা জান ও মালের উপর ছিল। (ফাতহুল কাদির) এর মাধ্যমে তাদের ঈমানের দৃঢ়তার পরীক্ষা হয়ে যেত। কোনো সময় কাফের ও পাপাচারীদের শত্রুতা তাদের ওপর নির্যাতনের মাধ্যমে হয়েছে। যেমন অধিকাংশ নবী এবং শেষনবী মুহাম্মদ সা: ও তাঁর সাহাবিরা প্রায়ই এ ধরনের পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছেন। সিরাত ও ইতিহাসের গ্রন্থাবলি এ ধরনের ঘটনাবলি দিয়ে পরিপূর্ণ। কোনো সময় এই পরীক্ষা রোগ-ব্যাধি ও অন্যান্য কষ্টের মাধ্যমে হয়েছে। যেমন আইয়ুব আ:-এর হয়েছিল। কারো কারো ক্ষেত্রে সর্বপ্রকার পরীক্ষার সমাবেশও করে দেয়া হয়েছে।
যে অবস্থায় পরীক্ষা ছাড়া অব্যাহতি না দেয়ার কথা বলা হয় তা ছিল এই যে, মক্কায় কেউ ইসলাম গ্রহণ করলেই তার ওপর বিপদাপদ ও জুলুম-নিপীড়নের পাহাড় ভেঙে পড়ত। এ পরিস্থিতি যদিও দৃঢ় ঈমানের অধিকারী সাহাবিদের অবিচল নিষ্ঠার মধ্যে কোনো প্রকার দোদুল্যমানতা সৃষ্টি করেননি তবুও মানবিক প্রকৃতির তাগিদে অধিকাংশ সময় তাদের মধ্যেও চিত্তচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়ে যেত। এ ধরনের অবস্থার একটি চিত্র পেশ করে খাব্বাব ইবনে আরত বর্ণিত একটি হাদিস। তিনি বলেন, ‘যে সময় মুশরিকদের কঠোর নির্যাতনে আমরা ভীষণ দুরবস্থার সম্মুখীন হয়ে পড়েছিলাম সে সময় একদিন আমি দেখলাম নবী সা: কাবাঘরের দেয়ালের ছায়ায় বসে রয়েছেন।
সূত্র:নয়া দিগন্ত
;
Report Print
About Author
0 Response to "কঠিন সময়ে ঈমানের পরীক্ষা"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন